নুসরাত পাইরিন, কক্সবাজার :: বিগত সময়ের ন্যায় এবারো ঈদুল আযহার কোরবানী বাজারকে সামনে রেখে বিকল্প উপায়ে উপায়ে গরু মোটাতাজাকরনের হিড়িক পড়েছে কক্সবাজারে।জেলা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নজরদারীর অভাবে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা অনায়াসে পার পেয়ে যাওয়ায় কারনে গরু মোতাতাজাকরন আশংকজনক ভাবে বাড়ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সূত্রে জানা যায়,পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মায়ানমার ও ভারত থেকে এবারে গরু রপ্তানি কম হতে পারে। পার্শ্ববর্তী মায়ানমার থেকে সীমান্ত বানিজ্যের আওতায় চাহিদামতো গরু না আসার কারনে স্থানীয়ভাবে গরুর সংকট মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব পড়বে স্থানীয় হাট- বাজার গুলোতে। গরু সংকট দেখিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪শ থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত।মাংস বিক্রেতাদের অভিমত কোরবানীর বাজারে এবার গরু সংকট দেখা দেওয়ার আশংকা রয়েছে। গরু সংকটের এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গরু মোটাতাজাকরণের সাথে জড়িত বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গৃহপালিত জীর্ণ শীর্ণ গরু কম দামে ক্রয় করে বিভিন্ন প্রাণঘাতী ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ করছে। বিশেষ করে রামু,কক্সবাজার সদর,টেকনাফ, উখিয়া,মহেশখালী,কুতুবদিয়া, পেকুয়া,চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এ প্রবনতা প্রকট আকার ধারন করেছে বলে জানা গেছে।উল্লেখিত উপজেলার টেকনাফ ছাড়া বাকি উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকান্ড নেই বললে চলে।গরু মোটাতাজা করনের ব্যাপারে কক্সবাজার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের করনীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান কর্মকর্তা জানায়, আমরা প্রতিটি উপজেলায় ইতিমধ্যে মনিটরিং করতে নির্দেশনা দিয়েছি। গরু মোটাতাজাকরণের বিষয়ে তিনি আরো বলেন,কোরবানির বাজারে বিক্রি করে বেশি টাকা মুনাফা লাভের জন্য কক্সবাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকে।জানতে চাইলে পশু চিকিৎসক আবদুল মোতালেব বলেন, গরুকে নিয়ম মাফিক খাদ্য দিয়ে মোটাতাজা করলে তার মাংস ক্ষতিকর হয় না।কিন্ত ষ্টরয়েড জাতীয় ঔষুধ দিয়ে মোটা করা গরুর মাংস ক্ষতিক্ষর এটি মূলত হাঁপানী রোগের জন্য ঔষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, এ জাতীয় ঔষুধ যেমন ডেক্সামেথাসন,বেটামেথাসন,বা ডেকাসন, প্যারেক্টিন অতিরিক্ত মাত্রায় গরুকে সেবন করালে গরুর কিডনি ও যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হয়।যে কারনে শোষিত হয়ে পানি সরাসরি মাংসে চলে যায়। ফলে গরু মোটা দেখায়।যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, সু নিদিষ্ট তথ্য নিয়ে হাট বাজার গুলো মনিটরিং করা হবে। কেমিক্যাল সেবন করে মোটাতাজাকরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রকাশ:
২০১৮-০৮-১০ ১৪:০১:০৪
আপডেট:২০১৮-০৮-১০ ১৪:০১:০৪
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
পাঠকের মতামত: